মহাভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ
বাণী-
১. "যে বস্তু সহজেই লাভ করা যায়, সে বস্তুর প্রতি মানুষের মূল্যবোধ থাকে না"- বিদুর
২. "চরিত্রের পরিক্ষা তখনই
হয়, যখন অপরচিত কারো সংস্পর্শে আসা হয়"- ভীষ্ম
৩.
"জয়ের জন্য বলের চেয়ে অধিক ছলের প্রয়োজন"-শকুনি
৪.
"সমুদ্র হোক বা সংসার, যে ধর্মের নৌকা প্রস্তুত করে সে ঠিকই পার হয়ে
যায়"-শ্রীকৃষ্ণ
৫. "যে
কেবল নিজের দুঃখকে আপন করে জীবন কাটায় সে শক্তিহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু যে ব্যাক্তি সমগ্র
সমাজের দুঃখ আপন করে জীবন কাটায় সে শক্তিশালী হয়ে ওঠে"-শ্রীকৃষ্ণ
৬.
"সুগন্ধ, দুরগন্ধ ও মানুষের স্বভাব কখনো গোপন থাকে না"-শকুনি
৭.
"যেভাবে বৃক্ষের মূল বৃক্ষকে খাদ্য যোগায়, সেভাবে মানুষের গর্ব মানুষকে শক্তি
যোগায়"-শকুনি
৮.
"পরিস্থিতিকে যদি নিজের অনূকুলে না আনতে পার,তবে তাকে শত্রুর প্রতিকুল বানিয়ে ফেলো"-শকুনি
৯.
"যারা শত্রুর শত্রু হয়, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে হয়"-শকুনি
১০. "যেখানে
বল কাজ করে না সেখানে ছল কাজ করে"-শকুনি
১১. “অরন্যের লতা বৃক্ষের স্বরন নেয়, তারপর সেই
বৃক্ষকেই গ্রাস করে ফেলে” -শকুনি
শ্রী কৃষ্ণ
সখী দ্রৌপদীকে বলছেনঃ
সখী, নদীর জলে স্নান
করে সকলের পাপ মোচন হয়, কিন্তু নদী কখনো পাপ যুক্ত হয় না
এতে। অধর্ম ও পাপ করেছে কুরুরা তুমি কেন নিজেকে পীড়ায় আচ্ছন্ন করে রেখেছ সখী?
নদীতে ময়লা পড়লে সেই ময়লা নদী সমুদ্রের সাথে মিশিয়ে দিয়ে নিজে
নির্মল থাকে। সকলকে ক্ষমা করে দাও এবং নিজের সকল দুঃখকে পরমাত্মার সাথে একিভুত করে
নিজেকে গ্লানি মুক্ত কর। প্রতিশোধ কখনো ধর্ম হতে পারে না, প্রতিশোধ
হলো অধার্মিকের অধর্ম। তুমি নিজের কথা ভাবছ সখী ? এক বার
ভেবে দেখ চক্রবর্ত্তী সম্রাটের রানী হয়ে তোমার যদি এই পরিনতি হয় তবে সাধারণ স্ত্রী
লোকের কি পরিনতি হবে ওদের হাতে? শুধু নিজের কথা ভেবোনা সখী,
সংসারের কথা ভাব। নিজের পীড়ায় আবদ্ধ হলে মানুষ শক্তি হীন হয়ে পরে,
আর বিশ্বসংসারের সকলের পীড়ার কথা মনে করলে মানুষ শক্তিশালী হয়ে উঠে।
নিজের পীড়া দ্বারা বিশ্বসংসারের পীড়াকে অনুভব কর সখী। দুর্যধনকে ক্ষমা করে দাও সখী,
তোমার ক্ষমাই হবে ওর বিনাসের প্রথম পদক্ষেপ।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণের লীলা বলতে
তাঁর পদক্ষেপকেই বুঝি। তাঁর লীলা বা পদক্ষেপ গুলি এতোটাই শুদ্ধ ও পবিত্র ও যুক্তি
যুক্ত যে তাঁকে ভাগবান না ভেবে থাকা সম্ভব নয়। নররূপী নারায়ণ তিনি, তিনি ভক্তের
বন্ধু ও সখা কৃষ্ণ।
অধার্মিক, আধা ধার্মিক,
অতি আধুনিক, অবিশ্বাসী, বস্তুবাদী,
মানবতাবাদীদের বলছি এমন উদার বানীর একটা উদাহরণ আপনাদের অবিশ্বাসের
ভাণ্ডার থেকে বের করে দিন !!! === যদি না পারেন তবে ধনরুপী ধন ভাণ্ডার সনাতনকে
চর্চা করুন এবং শ্রদ্ধা করুন। না জেনে বা চর্চা না করে আমি মানিনা এই ধারণাকে শুধু
মাত্র অথর্বের প্রলাপ বলা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।